নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাসের আগুনে নারী, শিশু’সহ অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৯জন। দগ্ধদের মধ্যে সবাই রোহিঙ্গা। শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন, ওই ক্লাস্টারের সফি আলমের মেয়ে মোবাশ্বেরা (৩), আবদুল হাকিমের ছেলে বশির উল্ল্যাহ (১৫), আবদুর শুক্কুরের মেয়ে রশিদা (৩), আজিজুল হকের মেয়ে জোবায়েদা (১১), আমেনা খাতুন (২৪), মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে সফি (১২), সফি আলমের ছেলে রবিউল (৫), আজিজুল হকের ছেলে সোহেল (৫) ও তার ছেলে রাসেল (৩)।
আহতদের মধ্যে ৭জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অপর দুইজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারের এক রোহিঙ্গা তার রান্না ঘরে থাকা একটি গ্যাসের সিলিন্ডার বের করে। সিলিন্ডারটিতে গ্যাস প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলো। অব্যবহৃত কিছু গ্যাস সিলিন্ডারে থেকে যাওয়ায় সে কক্ষের বারেন্দায় এনে সেগুলো ছেড়ে দেয়। এতে গ্যাসগুলো বাতাসে মিশে গিয়ে পাশের রান্না ঘরে চুলার আগুনের মিশে ঘিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং রান্না ঘরের একটি সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়। এতে ওই কক্ষগুলোর ভিতরে ও বাইরে থাকা নারী এবং শিশু’সহ ৯জন অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে অন্য রোহিঙ্গারা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আগুনে কোন কক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভাসানচর আশ্রয়ণের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, অব্যবহৃত কিছু গ্যাস একটি সিলিন্ডার থেকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে বাতাসে গ্যাস মিশে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কোনো কক্ষের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামি ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দিবেন।