জয়পুরহাটে পাঁচবিবির ‘ আবু হোসাইন হত্যা মামলা’ য় মা-ছেলে সহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ নূরুল ইসলাম এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের প্রত্যেকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী টুরার স্ত্রী মোসাঃ সহিদা বেগম ও ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম ও ছেলে রাফিউল ইসলাম।
এ মামলা ও রায়ের বিবরণে জানা গেছে, গত ২০১০ সালের ২৫মার্চ সকাল ৯টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামে বাড়ির সামনে খড়ের গাদা থেকে খড় খোলার সময় ওই গ্রামের আবু তাহেরের ওপর আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায় । এতে আবু তাহের গুরুত্বর আহত হলে তাকে বাঁচাতে তার ছেলে আবু হোসাইন সেখানে ছুটে গেলে আসামীরা তাকেও আক্রমণ করে এবং সে গুরুত্বর আহত হলে আসামীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আবু তাহের ও আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায়। কিন্তু আবু তাহের এর অবস্থা বেশি গুরুত্বর হওয়া তাকে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে দ্রুত বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু অবস্থার আরো অবনতি হলে আবু হোসাইন কে সেখান থেকে ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে তার বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ৪এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
সোমবার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ৫জনের মধ্যে ১জন পলাতক রয়েছেন। মামলা চলাকালীন সময়ে ২জন মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।