প্রতি সপ্তাহের বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি লেক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস।
ধানমন্ডি লেকে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ তথ্য জানান।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ধানমন্ডি লেকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে চাই যে, কোনো ভবঘুরে এখানে থাকতে পারবে না। এখানে যেসব খাবারের দোকান রয়েছে, রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে তাদের রান্না ঘর বন্ধ করতে হবে। সাড়ে নয়টার পরে কোনো খাবারের অর্ডার নেওয়া ও পরিবেশন করা যাবে না। বাইরের অংশে যে রেস্তোরাঁগুলো আছে, যেমন পানসি ও সাম্পান, সেগুলোর রান্নাঘর রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। আর সপ্তাহে একদিন বুধবার ধানমন্ডি লেকের পুরো এলাকা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
মেয়র তাপস বলেন, বুধবার কোনোরকম ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কেনা-বেচা এখানে হবে না। বুধবার আমরা সবাই মিলে ধানমন্ডি লেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখব। যাতে করে বৃহস্পতিবার থেকে শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশ থেকে যারা এখানে আসেন, তারা যেন নান্দনিক, সুন্দর ও সবুজ উপভোগ করতে পারে।
বায়ু দূষণের কারণ নির্ণয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ রয়েছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানিই ৮০ শতাংশ দায়ী উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, আমরা যে জীবাশ্ম জ্বালানি তথা পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ব্যবহার করি, তা বৈশ্বিক মানদণ্ডে সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ের। যে কারণে আমাদের বায়ুতে যেই পদার্থগুলো নিঃসৃত হয় তা অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক। সে জন্যই মাঝে মধ্যে আমরা বায়ু দূষণের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে অবস্থান করি। আর বাকি ২০ ভাগের মধ্যে অন্যান্য কারণগুলো হলো ইটের ভাটা ও নির্মাণ সামগ্রীর ধুলোবালি ইত্যাদি। বায়ু দূষণ রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যেসব নির্মাণ কাজগুলো হচ্ছে, আমরা সেগুলো তদারকি করছি।
এদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৭০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী ও ধানমন্ডি সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী লেয়াকত হোসেন মিলনসহ অনেকে।
