প্রেমের টানে স্বামীকে তালাক দিয়ে পোশাক শ্রমিক ববিতা (৩০) প্রেমিক শিমুলের কাছে চলে আসেন। বিবাহিত পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু, তারপর নতুন বাসায় ওঠার পরেই প্রেমিকাকে হত্যা করে পালিয়ে যান শিমুল।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) গ্রেপ্তার শিমুলকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।
অভিযান চালিয়ে (সোমবার) তাঁকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। আশুলিয়ার চক্রবর্তী এলাকার একটি কারখানা থেকে শিমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ইউনিক এলাকা থেকে দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ি থেকে ববিতার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গ্রেপ্তার শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজা রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় সুইং অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
নিহত মোছা. ববিতা আক্তার গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার পশ্চিম খাটিয়ামারী গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে। আশুলিয়ার চক্রবর্তী এলাকার স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ৬ মাস আগে স্বামী আতাউর রহমানকে ডিভোর্স দিয়ে আলাদা বসবাস শুরু করেন।
গত শুক্রবার শিমুলের সঙ্গে ববিতা নতুন বাসায় উঠেছিলেন। সর্বশেষ জামগড়ার পলমল নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন ববিতা। নতুন বাসায় ওঠার দুদিন পরে রোববার তাঁকে হত্যা করে পালান শিমুল। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই বাদশা মিয়া। নিহতের চাচাতো ভাই মো. আজিজ বলেন, আমার বোন ববিতার স্বামী ছিল। তাঁর ৫ বছরের এক ছেলেও আছে। এর আগে এই শিমুলকে নিয়েই তাদের সংসারে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। পরে যে তারা এক বাসায় থাকা শুরু করেছে তা জানতাম না। পরে শুনি আমার বোনের নাকি লাশ পাওয়া গেছে। এই খবর শুনে আমরা এসেছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই, আমার বোনের খুনির ফাঁসি চাই।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, ৬ মাস আগে স্বামীকে নিজেই তালাক দিয়েছিলেন ববিতা। প্রেমিক শিমুলকে তাঁর কর্মস্থলের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুন করার পরেও সেখানে তিনি নিয়মিতভাবে কাজ করে আসছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিকভাবে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ববিতার সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ববিতাকে হত্যা করা হয়েছে।