১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি)। তবে চেয়ারম্যানের পদে কেউ না থাকায় ফল প্রকাশ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। আশা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগেই প্রকাশ পাবে।
বিদায়ী চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান গত ২০ ডিসেম্বর অবসরে গেছেন। ২১ ডিসেম্বর রাতেই নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাইফুল্লাহিল আজম। তবে তিনি এখনো যোগদান করেননি। এনটিআরসিএ সূত্রমতে জানা গেছে, আগামী ১ জানুয়ারি নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করবেন। তিনি অনুমতি দিলেই ফল প্রকাশ করা হবে।
আগামী ২ থেকে ৪ জানুয়ারির মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচনের আগেই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৫ ও ৬ জানুয়ারি সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। এজন্য ৪ জানুয়ারির মধ্যেই ১৭তম নিবন্ধনের ফলপ্রত্যাশীরা সুখবর পেতে পারেন। এ বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধনের ফলাফল প্রস্তুতের কাজে নিযুক্ত এনটিআরসিএর দুজন কর্মকর্তা জানান, চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত হয়ে গেছে। যেহেতু চেয়ারম্যান নেই, সেজন্য পুনরায় ফলাফল শিট রিভাইজ করা হচ্ছে। যাতে কোনো ভুল-ত্রুটি না থাকে, সেটা যাচাইয়ের কাজ চলছে। চেয়ারম্যান যোগদানের পরপরই ফল প্রকাশ করা হবে।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে চাই। আশা করি, সেভাবেই সবকিছু সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুব কম বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। ভুল বিষয়ে আবেদন, মৌখিক পরীক্ষায় নিজের নাম-পরিচয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা এবং অনুপস্থিত প্রার্থীরাই শুধু ফেল করতে পারে। অন্যদিকে শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে যাবে, তাদের ক্ষেত্রে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করবে এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে প্রার্থীরা বয়সের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পাবেন।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম ব্যাচ ও দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যাচের পরীক্ষা নেওয়া হয়।