ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাগনভূঞায় এক বৃদ্ধাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা

দাগনভূঞায় এক বৃদ্ধাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়ন উত্তর বারাহি গোবিন্দপুর গ্রামে মমতাজ বেগম (৫৬) নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে ঘরের মধ্যে মাথায় আঘাত করে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা করেছে। ১৩ ডিসেম্বর রাত ৭টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। নিহত মমতাজ বেগম দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উওর বারাহিগোবিন্দ গ্রামের প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী।

জানা যায়, নিহত মমতাজ বেগমের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। নিহতের বড় ছেলে মেহেদী হাসান তুহিন কাতার প্রবাসী, ছোট ছেলে মাহামুদুল হাসান তন্ময় ফেনী শহরের একটি ইভেন্ট কোম্পানির ফটোগ্রাফার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হওয়ার সময় নিহত মমতাজ বেগম একা তার ঘরে ছিলেন। এসময় নিহতের বড় ছেলের বৌ বাবার বাড়িতে ছিলেন, তার একমাত্র মেয়ে স্বামীর বাড়িতে ছিলেন এবং তার ছোট ছেলে ফটোগ্রাফির কাজে ফেনীতে ছিলেন। নিহতের দেবরের ছেলে রজিনুল কবির বলেন, আমার চাচাতো ভাই তন্ময় আমাকে ফোন করে বলে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য, বারবার ফোন করে পাচ্ছি না। আমার জেঠির সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমাকে তাদের ঘরে যেতে বলে। আমি আনুমানিক রাত ১০ টার সময় ঘরে এসে দেখি তন্ময়ের মা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। বিষয়টি আমি সাথে সাথে তন্ময়কে অবহিত করি

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন বলেন, ছেরাজ মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে শুনে আমি ছুটে আসি। মেঝেতে বৃদ্ধার লাশ পড়ে আছে এই বিষয়টি দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করি।

মাহমুদুল হাসান তন্ময় জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারিদের দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এসময় ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন নিহত মমতাজ বেগমের মৃতদেহটি দেখতে পেয়েছি।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশেম ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

হত্যার বিষয়ে পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, রাত ৭টা থেকে ১০ টার দিকে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। আসলে খুনের মোটিভ সমন্ধে আমি ক্লিয়ার না তবে এটা একটি হত্যাকান্ড। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে, সুরতহাল করার সময় নিহতের গলায় ওড়না প্যাচানো ছিল, মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়, গলায় স্বর্ণের চেইন, হাতে স্বর্ণের বালা এবং কানে স্বর্ণের দুল ছিল এবং নিহতের ঘরের আলমারির জিনিসপত্র অগোছালো ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাবস্থায় দেখা যায়। তদন্ত করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অতি দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে বলে ও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন