বাংলাদেশের ফুটবলারদের আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। সেই প্রতিষ্ঠানকেই জালিয়াতির অভিযোগে এক বছরের জন্য ঘরোয়া ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাফুফে। চলতি মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় চকবাজার কিংস। সেই দলে বিকেএসপির তিন ফুটবলার খেলেছেন। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ হওয়া তিন ফুটবলার নাম পরিবর্তন করে খেলেছেন অন্য নামে ব্যবহার করে। চকবাজারের সঙ্গে বিকেএসপির তিন ফুটবলারের নাম ছিল নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মো.জিফাত।
বিকেএসপির হয়ে সেই তিন ফুটবলারই আবার দ্বিতীয় বিভাগে খেলেছেন অন্য নামে। বিকেএসপির হয়ে তারা খেলেছেন- তাসিন সাহেব, ইহসান হাবিব রিদুওয়ান ও রিফাত কাজী নামে। বিকেএসপির হয়ে নিবন্ধন করার সময়ই বিষয়টি নজরে আসে বাফুফের। খেলোয়াড়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ভিডিও কলে ফুটবলাররা বিষয়টি স্বীকার করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে।
এই কাণ্ডে বিকেএসপির কোচ রবিউল ইসলাম জড়িত, সেটিও স্বীকার করেছেন এই ফুটবলাররা। চকবাজার কিংসের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তার মাধ্যমেই খেলোয়াড়রা চকবাজার কিংসে নাম লেখান। এরপর দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ শুরুর আগে বিকেএসপিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। এরপরেও তৃতীয় বিভাগ লিগে খেলা অন্য একজনকে দ্বিতীয় বিভাগেও খেলায় বিকেএসপি। এ নিয়ে আরামবাগ ফুটবল ক্লাব বাফুফে বরাবর অভিযোগ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচ ও বিকেএসপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফের আইন কর্মকর্তারা।
ফলে বিকেএসপিকে দ্বিতীয় বিভাগ লিগে পরবর্তী ম্যাচ থেকে আর অংশ নিতে পারবে না। তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষকে ৩-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এক বছর বাফুফের আওতাধীন কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না বিকেএসপি এবং পাশাপাশি জরিমানা দিতে হবে এক লাখ টাকা।
এদিকে বিকেএসপির সিনিয়র ফুটবল কোচ শাহীনুল হক এবং প্রশিক্ষক রবিউল ইসলামকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। পাশাপাশি দুজনকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে এবং নাম পরিবর্তনকারী চার খেলোয়াড়কে নিজ দলের পক্ষে পরবর্তী ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।