৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ আগামী ২৭ নভেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে। ১১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী।
চলমান রাজনৈতিক হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচির কারণে পরীক্ষা পেছানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানা গেছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলবে ১১ দিন। সাত দিন কম্পোলসারি, আর চার দিন টেকনিক্যাল ক্যাডারদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এই পরীক্ষায় ১২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
অবরোধ বা হরতালের মধ্যে পরীক্ষা হবে কিনা এমন প্রশ্নে পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আমরা তো এর মধ্যে পরীক্ষা নিচ্ছি। ভাইভাও নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা বন্ধ করলে তো তা পিছিয়ে যাবে, আবার কবে নিতে পারবো তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কাজেই এই লিখিত পরীক্ষা হবে। পরিস্থিতি অন্য রকম হলে তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ মে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ১ হাজার ২২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪৫তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে নিয়োগ পাবেন ৫৩৯ জন। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে ৪৩৭ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৮০, কাস্টমস ক্যাডারে ৫৪ এবং প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানায় পিএসসি।