কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পথে পরা মেসির ছয়টি জার্সির একটি সেট আগামী ডিসেম্বরে নিলাম করা হবে বলে জানিয়েছে নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সাথেবি।
লিওনেল মেসি নৈপুণ্যেই ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কাতারের মরুর বুক থেকে বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করেছে আর্জেন্টিনা। সেই আসরের রেশ এখনও কাটেনি ভক্ত-সমর্থকদের। এরমধ্যে আরও একটি দারুণ সংবাদ পেলেন তারা। বিশ্বকাপে পরা মেসির জার্সি এবার কিনে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মেসি ভক্তরা।
নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সাথেবি জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পথে পরা মেসির ছয়টি জার্সির একটি সেট আগামী ডিসেম্বরে নিলাম করা হবে। তবে এর আগে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলামের জন্য জার্সিগুলো বিনামূল্যে জনসাধারণের দেখার জন্য তোলা হবে। ইউএস টেক স্টার্টআপ এসি মোমেন্টো দ্বারা জার্সিগুলো নিলামে আনা হচ্ছে, যারা ক্রীড়াবিদদের স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এর আয়ের একটি অংশ ইউএনআইসিএএস প্রকল্পে দান করা হবে। এই প্রকল্প বার্সেলোনার শিশু হাসপাতালের একটি উদ্যোগ যা বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করে।
জার্সিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলা ম্যাচের জার্সিও। নকআউট পর্বের বাকি তিন ম্যাচ অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসি যে জার্সি পরেছিলেন তাও থাকছে। এছাড়া সৌদি আরব ও মেক্সিকোর বিপক্ষে গ্রুপ-পর্বের প্রথমার্ধে পরা দুটি জার্সি রয়েছে। এই জার্সিগুলো নিলামে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি উঠবে বলে আশা করছে নিলামের আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। যদি জার্সিগুলো দাম প্রকৃতপক্ষে ১০ মিলিয়নের উপরে উঠে তাহলে এই নিলাম ক্রীড়া স্মৃতিচিহ্নের সবচেয়ে মূল্যবান সংগ্রহে পরিণত করতে পারে। এর আগেও কয়েকবারই মেসির জার্সি নিলামে উঠেছে। সেখানে তুমুল আগ্রহ ছিল ভক্ত-সমর্থকদের। তবে এবার সব ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করছে সাথেবি।
উল্লেখ্য, বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের জার্সিটি (ব্যক্তিগত) এখন পর্যন্ত নিলামে সবচেয়ে ব্যয়বহুল জার্সি। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএ ফাইনাল চলাকালীন সময়ে এই জার্সি পরে খেলেছিলেন তিনি। গত বছর এই জার্সি ১০.১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।