কর্ণফুলী নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। নদীর মূল সীমানা (জিএস/আরএস দাগ অনুসারে) বিশেষ টিমের মাধ্যমে জরিপ করে একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর সীমানায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলীর দখল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী গত ১২ নভেম্বর রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এছাড়াও, কর্ণফুলী নদীর দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ সচিব, পানি উন্নয়ন সচিব, পরিকল্পনা সচিব, ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।