ঢাকায় নেচে-গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন রুশ শিল্পীরা। জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে রুশ একতা দিবস।
শনিবার বাংলাদেশের রাশিয়ান দূতাবাসে রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এবং রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, রাশিয়ার জাতীয় একতা দিবস রাশিয়ার জনগণের জন্য গভীর তাৎপর্য বহন করে। জাতীয় ঐক্য রাশিয়ার বহু-স্বীকারোক্তি এবং বহু-জাতিগত মানুষের সহাবস্থানের প্রতীক। এটি আমাদের দেশকে ক্ষমতা ও সমৃদ্ধির দিকে ধাবিত করছে।
তিনি রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তারকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তার বলেন, আগামী দিনগুলিতে বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে শিক্ষাখাতে অবদান ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকায় রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে রাশিয়ান ভাষা নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপদের দিনে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাশে থাকা রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে মস্কোতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের একটি ভাস্কর্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারকে দেয়া হবে।
সাইবেরিয়ার স্টেট একাডেমির সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ‘ডান্স অব সাইবেরিয়া’-র মনমাতানো আয়োজন শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। এই প্রথম কোনও বাংলাদেশি মঞ্চে দলটি পারফর্ম করছে। এটি মঞ্চ লোকনৃত্যের ধারায় রাশিয়ার সেরা নৃত্য গোষ্ঠীগুলির একটি।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, গণমাধ্যম ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।