গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর টুঙ্গিপাড়ায় ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭ হাজার ৮৬৫টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ট্যাংক স্থাপন করে করেছেন। উপকূলীয় জেলা সমূহে সুপেয় পানির অভাব দূর করতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার লিটার পানির ধারণ ক্ষমতা রেখে এ ট্যাংক স্থাপন করেন তারা।
পানির ট্যাংক স্থাপন বাবদ প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত সহায়ক হিসেবে ১ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে নিয়োজিতরা বলেছেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বেশিরভাগ স্থানে গভীর নলকূপ স্থাপন করা যায় না। অন্যদিকে নলকূপের পানি লবণাক্ত ও আর্সেনিক যুক্ত। তাই সুপেয় পানির সংকট দূর বৃষ্টির পানি ট্যাংকে ধরে রেখে সুপেয় পানি পানের সুযোগ পেয়েছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার প্রায় ৮ হাজার পরিবারের ২৫ হাজার মানুষ।
এ পানি খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন গৃহবধূরা। এতে পুকুর বা নলকূপ থেকে পানি বহন করে আনার কষ্ট লাঘব হয়েছে। তাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে বৃষ্টির পানি।
করতে বিকল্প বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি ট্যাংকে ধরে রেখে সুপেয় পানি পানের সুযোগ পেয়েছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার প্রায় ৮ হাজার পরিবারের ২৫ হাজার মানুষ। এ পানি খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন গৃহবধূরা।
টুঙ্গিপাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রদীপ মজুমদার বলেন, বৃষ্টি হলেই ঘরের চালের নিচে বসানো পাইপ থেকে পানি ফিল্টারে যায়। তখন ফিল্টার থেকে ভালো পানি ট্যাংকের ভিতরে গিয়ে পড়ে। আর ময়লাযুক্ত পানি ওয়াস আউটের মাধ্যমে বাইরে পড়ে যায়। ট্যাংকে থাকা ট্যাপ ঘোরালেই পানি মেলে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই সুপেয় পানি পাচ্ছে ৭ হাজার ৮৬৫ পরিবারের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ। এই পানি দিয়েই খাওয়া ও রান্নাসহ সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করছে উপকারভোগীরা।
জানান, ৩ হাজার লিটার ট্যাংকটিতে পানিভর্তি থাকলে কয়েক মাস বৃষ্টি না হলেও তাদের সুপেয় পানি সমস্যা হবে না। ৩-৪ সদস্যের একটি পরিবার ৩ হাজার লিটার ট্যাংকটিতে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রায় সারা বছরই পান করতে পারবেন।
উপকারভোগীরা বলছেন, সরকার থেকে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য পানির ট্যাংক দিয়েছেন। এতে আমদের ভিষন খুব উপকার হয়েছে। এতো বড় পানির ট্যাংক পেয়ে আমরা খুবই খুশি। বৃষ্টি হলেই ট্যাংকিতে বৃষ্টির পরিষ্কার পানি জমা হয়। এ পানি দিয়েই চলে খাওয়া ও রান্নাসহ সব কাজ।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানি পান করলে শরীরে জমে থাকার টক্সিন বের হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ও রক্তের পিএইচ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে শরীরে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমে গিয়ে রোগের প্রকোপ কমে আসে। বৃষ্টির পানিতে আছে অ্যালকালাইন উপাদান। যা পিএইচ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়। তাই বৃষ্টির পানি শরীরের জন্য খুব উপকারী।