ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসা নিতে আসা আহত প্রতিপক্ষকে হাসপাতালে ফের মারধর

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আহত প্রতিপক্ষকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ফের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলার কেওয়ারদীঘি গ্রামের রিপন মিয়া (৪৫) ও রুবেল মিয়াকে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে বুধবার বিকালে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কেওয়ারদীঘি গ্রামের রুবেল মিয়া ও রতন মিয়ার পরিবারের লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ছোটদের বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে পরে বড়রা এতে জড়ায়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে একপক্ষে রুবেল মিয়াসহ চারজন আহত হয়। অপরপক্ষে রতন মিয়াসহ তিন-চারজন আহত হয়।

বিকালে গুরুতর আহত রুবেল মিয়াকে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় রুবেলকে দেখতে হাসপাতালে যায় তার চাচতো ভাই রিপন। রিপনেকেও লোহার রড দিয়ে পেটায় রতনের লোকজন। এতে রিপনের অন্তত ছয়টি দাঁত নড়ে যায়।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশে খবর দেয় চিকিৎসকরা। পরে পুলিশ যাওয়ার খবর পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

হামলার শিকার রুবেল মিয়া জানান, বেলা ১১টার দিকে ছোটদের বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে রতনের পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমিসহ পরিবারের চারজন আহত হয়। পরে বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জরুরি বিভাগে গেলে সেখানে রতনের ভাতিজা আশরাফের নেতৃত্বে ৮-১০জন যুবক রড নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালায়। চিকিৎসকরা তাদের পরে শান্ত করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। এতে তারা বাইরে গিয়ে গেটের কাছে চাচাতো ভাই রিপনকে পেয়ে তাকে বেধম পেটায় রড দিয়ে ওই যুবকরা।

আহত রিপন জানায়, আমি রোগী দেখতে আসছিলাম আশরাফ ও তার সঙ্গীরা রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে জখম করেছে। আমার ছয়টি দাঁত নড়ে গেছে। এগুলো ফেলে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রতিপক্ষের রতন মিয়া জানায়, ঝগড়া শুরু করেছে রুবেলের পরিবারের লোকজন। এর জেরে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।

হাসপাতালের ভেতরে হামলাকারী আশরাফের বক্তব্য জানতে চেয়ে তার মোবাইলে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ সরকার বলেন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আহত রোগীর ওপর হামলা চালালে আমরা পুলিশে খবর দেই। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা চলে যায়। শুনেছি পরে গেটের কাছে আরও একজনকে তারা মারধর করেছে। মুখে আঘাত লাগায় একজনের বেশ কয়েকটি দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেছে। ঠোট ও মুখের ভেতর কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন