ঢাকা | মঙ্গলবার
১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জের পপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

গোপালগঞ্জের পপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

গোপালগঞ্জের উলপুরের কথিত জমিদার ও স্থানীয় সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী (পপার) নামে আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরের পর গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সদর আমলি আদালত-১) বিচারক মো. রুবেল শেখ এ গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। আজ বুধবার বিকেল ৫টার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সুমন আহমেদ।

শহরের জনতা রোডের মো. আবু তালেব শেখের ছেলে মোজাহিদুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে আদালতের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য ও উলপুরের কথিত জমিদার মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী (পপা) জমি বিক্রির কথা বলে গোপালগঞ্জ শহরের জনতা রোডের মো. আবু তালেব শেখের ছেলে মোজাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নেন। দীর্ঘদিন জায়গা নিবন্ধন করে দিতে বললে নানা অজুহাত দিতে থাকেন। তাকে টাকা ফেরত দিতে বললে মোজাহিদুল ইসলামকে তিনি ১০ লাখ টাকার সাতটি ব্যাংক চেক দেন এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নিতে বলেন।

গত ৩ জুলাই মোজাহিদুল ইসলাম ব্যাংকে চেক জমা দিলে ওই ব্যাংক হিসাবে টাকা নেই বলে জানান ব্যাংকের কর্মকর্তা। পরে ১২ জুলাই মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরীকে লিগ্যাল নোটিশ দেন মোজাহিদুল ইসলাম। ওই নোটিশ করার পরও টাকা ফেরত না দেওয়ায় ২১ আগস্ট মোজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মৃণাল কান্তি রায়ের। নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয় মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী বলেন, আমি পৌরসভার নির্বাচনের আগে মোজাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। এর থেকে ২০ লাখ ফেরত দিয়েছি। আমি সমস্যায় ছিলাম তাই টাকা দেওয়া হয়নি। বাকি টাকা দিয়ে দেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন