ফেনীর দাগভূঞা উপজেলা পৌর শহরে ব্যস্ততম বাজারে পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগারের অভাবে চরম জনদুর্ভোগে বন্দি হয়ে পড়েছে দাগনভূঞা বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। মলমূত্রের বেগ হলে চেপে রেখে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা জনসাধারনের। এদিকে দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ, দাগনভুঞা থানা , সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, আদালত, ইউনিয়ন পরিষদ, কাজী অফিস, ভূমি অফিস ও বিভিন্ন সরকারি অফিস ব্যাংক কিংবা বীমা দাগনভূঞা বাজারে হওয়াতে সব সময় পুরুষ ও মহিলাদের আনাগোনা থাকে বাজারে। বিশেষ করে মহিলা পথচারিদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি ভাগই।
সরেজমিন বাজার ঘুরে জানা যায়, এতবড় ঐতিহ্যবাহী দাগনভূঞা বাজারের কোথাও কোনো স্থানে কোনো সরকারি পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার নেই। ফলে নানান দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীরা ও ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটা ও বিভিন্ন কাজে আসা মহিলাদের সাথে থাকা শিশুদের মলমূত্র বিভিন্ন স্থানে ফেলানো হয়। ফলে দুগন্ধের কারণে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয় মাঝে মাঝে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে বাজারের গলি ও সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শুধু তাই নয়, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দাগনভূঞা বাজারে বাজারে দ্রæত স্বাস্থ্য সম্মত গণশৌচাগার স্থাপনের দাবি সবার।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানে আসা কাস্টমার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা যাই। প্রয়োজন দেখা দিলে বেশিরভাগ মানুষই স্থানীয় মসজিদের শৌচাগার বা আশপাশের খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন। সময় সময় মসজিদেও থাকে তালা ঝুলানো। এটা আমাদের দাগনভূঞা বাসীর জন্য দুঃখজনক।
ড্রাইভার রফিক উল্যাহ বলেন, আমরা কয়রা বাজার কেন্দ্রিক সারাদিন ভ্যান চালাই এর মধ্যে এর মধ্যে যদে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হয়, তার কোনও জায়গা নেই। এ ক্ষেত্রে দাগনভূঞা বাজারে যদি গণশৌচাগার করে দেয়, তাহলে আমাদের মতো মানষের বড্ড উপকার হয়।
দাগনভূঞা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার শিবলু জানান, মেইন সড়কে ফোরলেন সড়কের কাজ চলমানে বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তার মধ্যে পাবলিক টয়লেটও ছিলো। এখন সড়কের কাজ সমাপ্ত হলে পৌর মেয়র জনসাধারণের সুবিধাজনক স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করবেন বলে আশ^স্ত করেছেন।
পৌর মেয়র ওমর ফারুক খাঁন জানান, অতি দ্রুত সড়কের কাজ শেষ হলেই আধুনিক পৌর শহর রূপান্তরে পাবলিক টয়লেট স্থাপনে চুড়ান্ত প্রক্রিয়া রয়েছে। সড়কের কাজ চলমানে এটি বিলম্ব হয়েছে অন্যথায় জনদুর্ভোগ পোহাতে হতো না।