মানিকগঞ্জের বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় জনগন, পথচারী ও যানবাহন চালকেরা। জেলা শহরের সাথে হরিরামপুর উপজেলায় যোগাযোগের অন্যতম সড়ক এটি। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতসহ নিয়মিত পণ্য পরিবহন হয়। সড়কের বেহাল দশার কারনে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মানিকগঞ্জে পৌর এলাকার এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এক দিকে যেমন চলাচলে চরম কষ্ট হচ্ছে অন্য দিকে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যাচ্ছে প্রচুর কাঁদা পানি। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, হরিরামপুর, ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে। মানিকগঞ্জের অধিকাংশ সড়কের উন্নতি হলেও পৌর এলাকার আন্দারমানিক জয়নগর সড়কের যেনো কোনো উন্নতিই হচ্ছে না।
আন্ধারমানিক এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম আক্কাস জানান, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষের যাতায়াত। জেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই এলাকায়। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। এই রাস্তায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছেই। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে হাটু পানিতে খানা-খন্দ ভরে যায়। আমাদের পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জনগণ খুব ভোগান্তিতে আছে এ সড়কটির জন্য।
স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা ছামাদ বলেন, সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। বাস-ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান চলাচল করলে ঝাঁকিতে ঘর বাড়ি কেপে উঠে। ঝাঁকিতে রাতে ঘুমাতে পারি না। এই সড়ক দিয়ে চলাচলে বিশেষকরে বৃদ্ধ মানুষ, শিশু, রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শুকনো মৌসুমে সড়কে প্রচুর ধুলাবালি থাকে আর বর্ষা মৌসুমে সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেউথা তিন রাস্তার মোড় থেকে আন্ধারমানিক তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের সলিং করা হলেও ইট উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ঝুকি নিয়েই চলাচল করছে ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন। সড়কে প্রচুর কাঁদা পানি জমে গেছে। এতে অতিষ্ঠ পথচারীসহ যানবাহন চালকেরা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন বলেন, আন্দারমানিক জয়নগর সড়ক এলজিইডি দেখভাল করে। ইতিমধ্যে ওই সড়ক টেন্ডারে হয়েছে এবং ঠিকাদার নিয়োগ করছে এলজিইডি।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ওই সড়ক আমাদের আওতাধীন নয়। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।
মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল হক বলেন, ওই সড়কটি ইতিমধ্যে টেন্ডার করা হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগের চেষ্টা চলছে। জনস্বার্থে খুব শীগ্রই ওই সড়কের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আনন্দবাজার/শহক