ঢাকা | মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূতুরে অবস্থা নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে

খুলনাগামী রুপসা আর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এসি বগি উধাও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ

চরম দূরাবস্থার আর অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে চলাচাল করছে দেশের সর্ববৃহত রেল পথ চিলাহাটী থেকে খুলনা অভিমুখী রুপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি। নিদৃষ্ট সময়তো দূরের কথা। এক থেকে দেড় ঘন্টা বিলম্বে চলাচল নিয়মে পরিনত হয়েছে ট্রেন দুটির।

একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলে, ট্রেনের ভিতরের করুণ অবস্থা বলার মতো নয়। ছেড়াফাটা ছিট, কোথাও দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। জানালার গ্লাস নেই। ফ্যান ঘুরেতো, ঘুরেনা অবস্থা। বাধরুমে পানি ও সাবান নেই। ভবঘুরে, টোকাই আর হকারের উৎপাত লেগেই আছে। তার উপর বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমনকারীদের রাজ্যত্বতো আছেই। বিড়ি সিগারেটের ধোয়ায় একাকার অবস্থা। কিন্তু কে ভাবে কার কথা। অথচ সবই আছে। আছে ভুড়ি ভুড়ি জনবল। এদিকে আকর্ষিক ভাবে রুপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি বগিগুলির হদিস মিলছে না। যাত্রীরা বারবার কাউন্টারে খোজ নিয়েও কোন সদ উত্তর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। তবে রেলের একটি সূত্র জানায়, গত ৫-৬ মাস আগে দুই ট্রেনের ৪টি এসি বগি কেটে নেয়া হয়েছে।

নীলফামারী রেল ষ্টেশন সূত্র জানায়, প্রচন্ড তাপদাহের কারনে এসি বগির চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিন যাত্রীরা এসি টিকিট খোঁজ করছেন হন্যে হয়ে। তবে কি কারনে ট্রেন থেকে এসি বগি দুটি বাদ দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারেননি। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, মেরামতের জন্য বগি ৪টি খুলে নেয়ার পর থেকে আর কোন খবর নেই। স্থানীয় যাত্রীরা দ্রæত ট্রেন ২টিতে এসি বগি সংযোজনের দাবী জানিয়েছেন। অপর দিকে প্রতিদিন রাতে নীলফামারী রেল ষ্টেশন ভূতুরে এলাকায় পরিনত হচ্ছে। ষ্টেশন সুত্র জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত অন্তত ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিং এর কারনে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু ও মহিলা যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন বেশী। অপর দিকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল যখন স্যোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত তখন শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ রেল ষ্টেশনটি জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ায় যাত্রীসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন