আমি বিষয়টি জানি না। এ নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলবো – ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন, তত্ত্বাবধায়ক, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল।
সড়কটি মেরামতের টেন্ডার হয়েছে। দুই চারদিনের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে- মোঃ কাজিউল ইসলাম, পৌরমেয়র, কুড়িগ্রাম পৌরসভা।
কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রধান আশ্রয়স্থল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিদিন ৫ শতাধিক রোগীসহ হাজারো মানুষের পদচারণা ঘটে এ হাসপাতাল চত্বরে। কিন্তু হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কটির বেহাল দশায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চিকিৎসা প্রত্যাশী ও পথচারীদের। শুধু সড়ক নয়, এর প্রধান প্রবেশদ্বারে সড়কে ব্যবহৃত রড বের হয়ে প্রবেশপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কের যে অবস্থা তাতে ঝাকুনিতে রোগী আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বয়স্ক ও প্রসূতি রোগীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। গত কয়েক মাস ধরে এমন বেহাল দশা চললেও সড়কটি মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা সফিকুল বলেন, ‘শুধু হাসপাতাল নয়, একই সড়কে সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (ম্যাটারনিটি), যক্ষা ক্লিনিক, মৎস্য অফিস সহ বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীসহ সাধারণ মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কটির এমন অবস্থা যে এতে চলাচলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে।’
হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, এর নতুন ভবনের মূল প্রবেশপথের নির্মিত সড়কটির ঢালাই উঠে গিয়ে রড বের হয়ে আছে। রডের সুঁচালো মাথা প্রবেশ মুখে এমনভাবে বের হয়ে আছে যে, হাসপাতালে প্রবেশকারী মানুষের পায়ে আঘাত লেগে যেকোনও সময় জখম হতে পারে। এমনকি রিকশা কিংবা রোগী বহনকারী যানের চাকায় রড ঢুকে যেকোনও দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন কয়েকজন দোকানি জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবেশপথটি এমন ঝুঁকির্পূর্ণ থাকলেও তা মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা অটোরিকশা চালক সাহারুল বলেন, ‘রডের মাথা যেমন করি বের হয়া আছে তাতে কখন যে কার গাড়ির চাকা ফুটা হয় তার কোনো ঠিক নাই। এগুলা দেখিয়াও ক্যা ঠিক না করে তাক কাই জানে।’
প্রবেশ পথ মেরামতের বিষয়ে জানতে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে মূল ফটকের রড বের হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সে বিষয়ে অবগত নন তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন। তিনি বলেন, ‘ আমি বিষয়টি জানি না। এ নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলবো।’
হাসপাতালের সামনের সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে পৌর মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি মেরামতের টেন্ডার হয়েছে। দুই চারদিনের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে।’