দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ঢালচর। চারিদিকে নদী মাঝখানের এই দ্বীপটিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বসবাস।
এখানকার মানুষের যাতায়াতের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই বল্লেই চলে। একটি মাত্র খেয়া আছে তাও চালকের বেধে দেয়া সময়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয় ইউনিয়ন বাসির। দিনে একবার আনন্দবাজার ঘাট থেকে কচ্ছপিয়া ঘাট পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন নদীর তীরের এসব মানুষ।
তবে নদীর তীরের এসব মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ নিরসন করতে উপজেলার পাঁচ কপাট টু ঢালচরের হাওলাদার বাজার মাছঘাট প্রর্যান্ত নতুন আরেকটি খেয়া চালুর খবরে দ্বীপ বাসিদের মনে স্বস্তির আবাস দেখা গেছে। অনেকে আবার হতাশার কথাও জানিয়েছেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, হাওলাদারবাজার মাছ ঘাট থেকে পাঁচ কপাটের এই লাইনটি যাত্রী এবং বাজার ব্যবসায়ীদের জন্য কম খরচে নদী পার হওয়ার সহজ উপায়।
কিন্তু কিছুদিন লাইনটি চললেই প্রভাবশালীরা মিথ্যা মামলা হামলা আর ভয় ভীতি দেখিয়ে লাইনটি বন্ধ করে দেন।
তাদের দাবি একটি খেয়ায় এখানকার মানুষকে জিম্মি করতেই লাইনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণসহ নানা অভিযোগও রয়েছে খেয়া মালিকের বিরুদ্ধে।
কচ্ছপিয়া ঘাটের খেয়া মালিক মো. মাহে আলম জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়। যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান স্টাফদের সাথে মাঝেমধ্যে কিছু হলে আমি সমাধান করে দেই।ঢালচরের হাওলাদার বাজার মাছ ঘাট থেকে পাঁচ কপাট নতুন লাইনে তার কোনো অসুবিধা নেই বলেও জানান তিনি।
দ্বীপ ইউনিয়নের দীর্ঘ ভোগান্তিতে এসব মানুষের প্রাণের দাবী স্থায়ীভাবে এই লাইনটি সচ্ছল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি এলাকারবাসীর এ দূ্র্ভোগ নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবেন।