ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি তথ্যে চলতি বছর চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। তারমধ্যে শিশুই ২১ জন। চলতি আগস্টেই আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪১ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। শনিবার (২৬ আগষ্ট) সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ মাস বয়সী লাবিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার (২৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘এক্সপান্ডেন্ট ডেঙ্গু সিন্ড্রোম’ উল্লেখ করা হয়েছে। একই হাসপাতালে গত ১৯ আগস্ট ৫ বছর বয়সী জাহিদ ভর্তি হলে শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত সোয়া ১০টায় এক্সপান্ডেট ডেঙ্গু সিনড্রোম জটিলতায় ভুগে মারা যায় এ শিশুটিও।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ২৫ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১৯ জন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেজ হাসপাতালে, ৭ জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং ২৬ জন চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত আরও ৪৯ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট ৫ হাজার ২১৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরীর ৩ হাজার ৫৯১ এবং বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৬২৬ জন। বর্তমানে ২৯১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৯২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এর আগে জুলাইয়ে ২ হাজার ৩১১ জন সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুনে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে শিশু-কিশোর-তরুণ মিলিয়ে ২১ জন, ১২ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী আছেন। তারমধ্যে জানুয়ারিতে ৩ জন, জুনে ৬ জন, জুলাইয়ে ১৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে ৫ জন মারা গিয়েছিল।