মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আসমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হালঘড়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুর রহমান লালই এর দ্বিতীয় স্ত্রী।
শনিবার (২৬ আগস্ট) লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে বিষ পানে আত্মহত্যার কথা বললেও কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যার আলামত পাননি বলে জানান। এতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ ও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নিশাত জাহান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসমা বেগমের মেয়ে তামান্না আক্তার পারিবারিক কলহের জেরে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ীর হালঘরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহমান লালই ৪ বছর আগে পশ্চিম গোয়ালবাড়ী গ্রামের মৃত আকদ্দছ আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৪৫) কে বিয়ে করেন।
সূত্র আরো জানায়, প্রবাসী আব্দুর রহমানের দেশে তিন সন্তান সহ আরেক স্ত্রী রয়েছে। ওই স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সিলেটে বসবাস করেন। বছর খানেক আগে আব্দুর রহমান লালই ও আসমা বেগম উভয়ে দেশে এসে বসবাস করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী -স্ত্রীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হলে সকালে আব্দুর রহমান লালই ১ম স্ত্রীর কাছে সিলেটে চলে যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় আসমা বেগমের নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ ও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিশাত জাহান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আসমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের মুখে বিষক্রিয়ার কোন গন্ধ পাওয়া যায়নি। পোস্টমর্টেমের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম বলেন, তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনেছি।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এ মৃত্যুর বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।