নীলফামারীর ডিমলায় দুই মাস আগে তিস্তা নদীর পানির স্রোতে সড়ক ভেঙে যায়। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিন গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ। এছাড়া সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে পানির নীচে তলিয়ে গেছে রোপা আমনের ক্ষেত।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের ২ কিলোমিটার সড়কের ২০ মিটার অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, নদীপাড়ের হাজারো মানুষ সড়কটি দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কটি কাঁচা হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে। ভেঙে যাওয়ায় এখন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এই এলাকা তিস্তা নদীর ভাঙন হুমকিতে পড়েছে।
কেল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গফুর বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ভেঙে যাওয়া অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানির সঙ্গে বিপুল পরিমাণে বালু এসে ফসলি জমিতে জমাট বাঁধছে। এ কারণে অনেক আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হতে পারে।
একই গ্রামের ইজিবাইক চালক মশিয়ার রহমান বলেন, এই গ্রামে শতাধিক ইজিবাইক রয়েছে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ইজিবাইক চালাতে পারছি না। রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি।
পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী মোর্শেদ আকতার বলেন, সড়ক ভেঙে যাওয়ায় তারা স্কুলে যেতে পারছেন না।
ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে সড়কটি মেরামতের নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান জানান, সড়কটি বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সড়ক মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।