ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০৩ দিনে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পৌনে ৬ কোটি টাকা

১০৩ দিনে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পৌনে ৬ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া যায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। যা এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ টাকা। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার এই টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা রূপা।

শনিবার (১৯ আগষ্ট) সকালে ১০৩ দিন পর মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। প্রথমে টাকা গুলো ২৩টি বস্তায় ভরে নেওয়া হয় গণনার জন্য। পাগলা মসজিদের শিক্ষক ছাত্র ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ মোট ২০০জন দিনভর টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। গণনা শেষে শনিবার রাতে টাকার পরিমাণ জানা যায়। এর আগে গত ৬ মে এই দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে এখানে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।

জনশ্রুতি রয়েছে, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নামে মানত করলে মনের আশা পূরণ হয়। এই বিশ্বাস থেকেই এই মসজিদে মানুষজন দান করে থাকে। মুসলমানের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বী সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ মানত হিসেবে এই মসজিদে দান করে থাকেন। টাকা পয়সা, বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা রূপা সহ গবাদি পশু ছাগল হাঁস মুরগি, কবুতর এবং কি বিভিন্ন ফলমূল মানত হিসেবে দান করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন