দেশের বহুল প্রচারিত শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় গত রবিবার (১৩ আগস্ট) “মির্জাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বেদখলের হিড়িক” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দখলকারীদের কাছ থেকে আটটি ঘর উদ্ধার এবং ১৬টি ঘর সিলগালা করেছে প্রশাসন।
গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান জাহিদ খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়াসহ প্রশাসনের একটি টিম ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এতে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান জাহিদ খান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দখলকারীদের কাছ থেকে আটটি ঘর উদ্ধার করে প্রকৃত উপকারভোগীকে ফিরিয়ে দেন। একইসাথে ঘরে বসবাস না করে তালাবদ্ধ করে রাখার দায়ে ১৬টি ঘর সিলগালা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান বলেন, দখলকারীদের কাছ থেকে ৮টি ঘর উদ্ধার করে প্রকৃত বাসিন্দাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। একইসময়ে বরাদ্দকৃত ঘরে অন্য বাসিন্দাদের উপস্থিতি থাকায় ১৬ টি ঘরে সিলগালা করা হয়েছে। যারা প্রকৃত মালিক কিন্তু দূর-দূরান্তে আছে তারা ফিরে আসলে তাদের চাবি দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ঝাটিবুনিয়া আশ্রয়ণে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৬৫ টি ঘর রয়েছে। গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘরের চাবি ও দলিল উপকারভোগীদের তুলে দেন এবং সেইসাথে মির্জাগঞ্জ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর ওই ঘরগুলোতে উপকারভোগীরা পর্যায়ক্রমে বসবাস শুরু করে। এর ভিতর বেশকিছু উপকারভোগী ঘরে শুধু তাদের মালামাল রেখে অন্যত্র বসবাস করে, কিন্তু মাঝেমধ্যে এসে শুধু ঘর দেখে চলে যায়। আবার অনেক উপকারভোগী ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যায়। মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও তারা ঘরের কোন খোঁজখবর নেইনি। সেই সুযোগে দখলকারীরা ৮/১০ টি ঘরের তালা ভেঙে বেদখল করে নেয়। পরে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আনন্দবাজার।