ঢাকা | বুধবার
৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরের ভাগ্যকুলের দুর্ভোগ

শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নে মাঠপাড়া প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় জলাবদ্ধতায় যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। ভাগ্যকুল বাজার থেকে মাঠপাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্যর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাসহ আশপাশের বসতবাড়িতেও বৃষ্টির হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নে মাঠপাড়া প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় জলাবদ্ধতায় যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। ভাগ্যকুল বাজার থেকে মাঠপাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্যর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাসহ আশপাশের বসতবাড়িতেও বৃষ্টির হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকার ফলে দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই জলাবদ্ধতায় বিষাক্ত মশা উপদ্রæপ বাড়ছে। পানি বাহিত রোগ সংক্রমণের শঙ্কায় পরেছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠপাড়া রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা শাখা রাস্তাসহ বিভিন্ন বসতবাড়ির আঙ্গিণা পানি ঢুকে পড়েছে। কোন ভাবেই জলাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠছে না। বৃষ্টির জমা পানিতে এডিস মশার উৎপত্তি হচ্ছে। এতে ডেঙ্গুর শঙ্কা করা হচ্ছে। রাস্তায় হাঁটু পানি থাকা শর্তেও ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে।

অপরদিকে বিকল্প রাস্তা না থাকায় এলাকার বৃদ্ধ, শিশুসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পথ পাড়ি দিচ্ছেন। অন্যদিকে পানি জমে থাকার ফলে সড়কটিতে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নটির ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলাবদ্ধ এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী ভাগ্যকুল বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটিও খানাখন্দে ভরা। ভাগ্যকুল বাজার ঘাট থেকে ভাগ্যকুল ভূমি অফিস পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ফুট রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বছরের প্রায় ১২ মাসই মাঠপাড়া রাস্তা জলাবদ্ধ থাকে। বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা আরো ভংকর হয়ে উঠে। কারণ হিসেবে তারা জানান, পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই এখানে। বৃষ্টির ঢলের পানি কোন দিকে সরতে পারছে না। রাস্তাসহ বসত বাড়িতেও জলাবদ্ধতার সম্মূখীন আমরা। ড্রেন নির্মাণ করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসণ হবে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছেও সমস্যা সমাধান চেয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। এই জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গুসহ পানি বাহিত রোগ সংক্রণের শঙ্কা করছেন তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ মো. শাহ আলম সারেং জানান, ব্যক্তিগতভাবে পাইপ স্থাপন করে পানি অপসারণের জন্য উদ্যোগ নিলে স্থানীয় বাড়ির মালিকদের অনেকের বাঁধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাস্তার কাজ পেলে বন্ধ রাখে। পর পর ২ বার ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন