দেশের উত্তরে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুর্ভোগে পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে। এখন পর্যন্ত মিলেনি ত্রাণ সহায়তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না পর্যন্ত করতে পারছেন না পানিবন্দি অধিকাংশ পরিবার। খেয়ে না খেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের অভাব। সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হলেও তা এখনো পানিবন্দি এলাকায় পৌঁছায়নি। গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন তারা। অনেকেই বাধ্য হয়ে বন্যার আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ভেঙে নিয়ে আসছেন নৌকায়। আশ্রয় নিচ্ছেন বাঁধের রাস্তায়। সেখানেই রান্না করে খাচ্ছেন তারা। রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের সুলতান বলেন, দুদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি। এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারে রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ঘরের ভেতরে পানি থাকায় গবাদি পশু উঁচু স্থানে রেখে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। আর শুকনো খাবারের অভাব দেখা দিলেও মিলছে না কোনো ত্রাণ সহায়তা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার/শহক