ঢাকা | শনিবার
২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্য মন্ত্রীর সাথে ইইউ প্রতিনিধি দলেরবৈঠক

তথ্য মন্ত্রীর সাথে ইইউ প্রতিনিধি দলেরবৈঠক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে নিজ দফতরে আজ বুধবার (১২ জুলাই) এই বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী হবে তা জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল। জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউরোপের মতো বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিবন্ধিত না। কাজেই এসব মাধ্যমে ছড়ানো গুজব ঠেকানোই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ।

আজ (বুধবার) দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। কেউ শান্তিপূর্ণ, কেউ একদফা। সেটা নিয়ে তারা কী বলেছেন – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেখুন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের সময়ে আমাদের মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে, সেটি জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের মিডিয়া হচ্ছে প্রাইভেট। বাংলাদেশে বিটিভি একটি চ্যানেল, আর ৩৫টি প্রাইভেট চ্যানেল সম্প্রচারে আছে।’

‘আমাদের চ্যালেঞ্জ, সামাজিক মাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হয়, সেটি। তাতে করে দেশে হানাহানি তৈরি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে, সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফরমগুলোর রেসপনসিবিলিটি (দায়িত্বশীলতা) আছে। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ বছরই আইন সংশোধন করেছে। তারা বলেছে, প্রতিটি সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে।‘

তিনি বলেন, ‘এ কথাটি আমরা বহুদিন ধরে বলে এসেছি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সব সামাজিক মাধ্যমকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলে এসেছি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে এখানে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। কিন্তু এখনো হয়নি। ইউরোপে কিন্তু আইন সংশোধন করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি ফ্রেমওয়ার্ক ল’ তৈরি করেছে। সব সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে। আইন অনুসারে তারা এটি করতে বাধ্য।

‘আমাদের দেশে এখনো তারা নিবন্ধিত হয়নি। এটি অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অতীতে দেখেছি, কোনো গুজব যখন ছড়ানো হয়, বিতর্কিত পোস্ট যখন দেয়া হয়, সেটি যখন আমরা সরাতে বলি, তখন তা সরানো হয়। আবার যখন সরায়, তখন ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। কারণ গুজব তো কয়েক ঘণ্টায় ছড়ায়, যদিও বা তারা সেটি সরায়, সেটা মাত্র ১০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ তারা সরায় না। এতে সামাজিকভাবে হানাহানি তৈরি হয়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।‘

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিএনপি ছাড়া এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন