“অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রামগড় স্থলবন্দরের ভূমিকা অপরিসীম” এই প্রতিপাদ্যে বারৈয়াহাট-হেয়াঁকো-রামগড় সড়কের আধুনিকায়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) সকাল ১১টার দিকে রামগড় স্থলবন্দরে ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশ্বস্তকরণ’ রামগড়ের মহামুনি এলাকাস্থ ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ এলাকায় ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি এবং ভারতীয় হাই কমিশনের কমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন।
৩৮ কিলোমিটার সড়কের এ প্রকল্পটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অর্থায়নে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর আওতায় নির্মিত হচ্ছে।
হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা এই অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
ভারতীয় হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ সতাংশ। ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।
বারইয়েরহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে, খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারইয়েরহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে। উপরন্তু, ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর উপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।
আনন্দবাজার/শহক