তরুণরাই আগামীদিনের বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিবে। এজন্য রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ হওয়া দরকার। এদেশের তরুণরা রাজনৈতিকভাবে বিমুখ এটি ঠিক নয়। তারা রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে যেতে কাজ করছে। এটি আরো এগিয়ে নিতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন স্ট্রেনদিং পলিটিকেল ল্যাডস্কেপ (এসপিএল) ড্যামেক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অফ পার্টি ড্যানা এল ওল্ডস।
শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানী ঢাকার লেকশোর হোটেলে মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের (এমএএফ) উদ্যোগে সকাল ১০টায় ‘তারুণ্যের মেলা’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসপিএল’র ডেপুটি চিফ পার্টি লেসলি রিচার্ডস, মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিন ও এমএএফের সহ-সভাপতি ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল প্রমুখ।
মেলায় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা ও তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্র সমাজের সদস্যরা অংশ নেন। ইউএসএআইডির অর্থায়নে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, বর্তমানে রাজনীতিতে পারস্পারিক সহনশীলতা কমে গেছে। এতে সাধারণ মানুষ রাজনীতির দিকে আসতে চাচ্ছে না। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। মানুষের জন্যই সবাই কাজ করছি। সেজন্য পারস্পারিক সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ থাকা দরকার। কিন্তু বর্তমানে বেশকিছু দিন যাবত তা দেখা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, এমএএফ বর্তমানে সারা দেশে ২১টি জেলায় কমিটি গঠন করেছে। আর এ পর্যন্ত ১৬টি মেলার আয়োজন করেছে।
লেসলি রিচার্ড বলেন, বাংলাদেশ মূলত সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এখাকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনেও ছাত্রদের সাহসী ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নারী ও তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেখানে তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করতে হবে। এতে করে দেশ এগিয়ে যাবে।
আনন্দবাজার/শহক