দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হলো নতুন বছর। আর এ বছর দেশি পেঁয়াজের দাম বিদায়ী বছরের তুলনায় ৪৯.৫২ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭১.১১ শতাংশ।
এতে সদ্য বিদায়ী বছরে ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে ৬.0৮ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার পূর্ব বছরের তুলনায় বেশি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। রাজধানীর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জীবনযাত্রার ব্যয়ের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়।
রাজধানীর ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবার মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ও ১৪টি সেবার তথ্য পর্যালোচনা করে ক্যাব এই হিসাব করেছে। এই হিসাব শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয়বহির্ভূত।
২০১৮ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায় ৫.১৯ শতাংশ। এর সাথে বেড়েছে আদা, রসুন, ও এলাচের দাম।
২০১৯ সালে গড়ে শাকসবজির দাম বেড়েছে ৮.১৩ শতাংশ। তরল দুধে বেড়েছে ১০.৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া দেশি থান কাপড়, বিদেশি কাপড়, খেজুর গুড়, নারিকেল তেল, ঘরভাড়া প্রভৃতি জিনিসের দামও বেড়েছে।
এ ছাড়া ভোজ্যতেল, লবণ, চিনি, সাবান, পান সুপারি ইত্যাদি পণ্যের দাম কমেছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস