মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ঘর থেকে যা নিয়ে এসেছি তাই খাচ্ছি, এখনো কেউ কিছু খেতে দেয়নি’

‘ঘর থেকে যা নিয়ে এসেছি তাই খাচ্ছি, এখনো কেউ কিছু খেতে দেয়নি'

ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় বাসিন্দারা।

আজ উপজেলার উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন চিত্র। পূর্ব গহিরা ৯নং ওয়ার্ডের মুজিবকেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, মুজিবকেল্লায় গৃহপালিত পশু গরু-ছাগল এনে রাখা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী পূর্ব গহিরা আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করেছেন স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। কিন্তু সারারাত পার হয়ে গেলেও স্থানীয় পরিষদ কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোরূপ খাদ্যদ্রব্য দেয়া হয়নি বলে জানান আশ্রিতরা। এ আশ্রয়কেন্দ্রটিতে পানি এবং শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে বলেও তারা জানান।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ফজিলা বেগম অবস্থান নেন এই আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ঘর থেকে যা নিয়ে এসেছি তা-ই খাচ্ছি। এখনো কেউ কোনো খাদ্য সাহায্য নিয়ে আসেনি।

এদিকে দক্ষিণ গহিরা, উত্তর গহিরায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি কেউ, মধ্য গহিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাতে তিন পরিবার আশ্রয় নিলেও সকালে ছিলো এক পরিবার।

উপকূলীয় রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, সারারাত আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম। শত চেষ্টা করেও সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়নি। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করাসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে আনা হয়েছে, তবুও বেশিরভাগ মানুষ নিজ ঘরে অবস্থান করেছেন। কোস্ট গার্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার দেয়া হয়েছে। আর কয়েকটাতে রাতে খাবার দেয়া হয়নি, সেগুলোতে সকালে দেয়া হবে। উপকূলীয় সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানান, এখন হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কোনো বাতাস নাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু নাসের জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য এবং বিতরণের জন্য ২ টন চাল, ১৫ হাজার নগদ টাকা, ৫০ কার্টন ড্রাই কেক, ৩০ কার্টন টোস্ট বিস্কুট দেওয়া হয়েছে। আরো সাড়ে ৪ টন খাদ্য শস্য মওজুদ রয়েছে। নগদ টাকা আরো লাগলেও দেয়া হবে। গতরাতে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে তারা ঘর থেকে খেয়েই এসেছে তাই রাতে খাবার দেয়া হয়নি তবে কোস্টগার্ড আশ্রয়কেন্দ্রে যারা উঠেছে তাদের রাতের খাবার দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘এ বছর বাংলাদেশিদের হজে যাওয়ার সম্ভাবনা’

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন