দৈনিক আনন্দবাজারে সংবাদ প্রকাশের পর গত সোমবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুটি অবৈধ সন্দেশ কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় দুই শ্রমিককে এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত শ্রমিকরা হলেন, টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে হারুন মিয়া (৪৭) ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার নাটোয়াবাড়ি এলাকার ওবায়দুল মিয়ার ছেলে লুৎফর রহমান (৪৫)।
এলাকাবাসী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় পাশাপাশি অপূর্ব সন্দেশ ও ভাই ভাই সন্দেশ নামে দুটি অবৈধ কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের শিশুখাদ্য সন্দেশ তৈরি করা হচ্ছিল। মানিকগঞ্জ থেকে এসে শুভরাজ ও শাহিন নামে দুই মামু-ভাগনে মিলে অবৈধভাবে ওই সন্দেশ কারখানা গড়ে তোলেন। এ ঘটনায় আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর হলে গত সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
অভিযানের খবর পেয়ে সন্দেশ কারখানার মালিকরা পালিয়ে গেলেও হারুন ও লুৎফর নামে দুই শ্রমিককে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সন্দেশ ও সন্দেশ তৈরির উপকরণ ধ্বংস ও আটককৃত শ্রমিকদ্বয়কে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে ওই দুটি সন্দেশ কারখানা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, ওই কারখানায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় কেমিক্যাল মেশানো সন্দেশ তৈরি করা হচ্ছিল। যে সন্দেশ খেয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ শিশুরা ঝুঁকির মুখে থাকে। এ জন্য অভিযান চালিয়ে দুই শ্রমিককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ওই কারখানা মালিকদের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। তবে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।