শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে গত ২ দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। সেই সাথে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অতি মাত্রা শীতের কারনে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ঠান্ডা জ্বর সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয় বৃদ্ধ ও শিশুরা।
গত ২ দিন থেকে সূর্যের আলো দেখা মিলে না। প্রচণ্ড শীতের কারনে শ্রমিকেরা কোন কাজ কর্ম করতে পারছে না। অতিমাত্রায় শীতের কারনে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। প্রচণ্ড শীতের কারণে অনেক দরিদ্র পরিবারের লোকেরা শীত নিবারনের জন্য আগুন জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। এ পর্যন্ত ঝিনাইগাতি উপজেলার দেড় লক্ষাধিক লোকের বিপরীতে দরিদ্রদের জন্য প্রায় ৩২শ, শীত কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বরাদ্দকৃত শীত কম্বল ৭টি ইউনিয়নে দরিদ্রদের মাঝে বিতরনের জন্য দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ভাবে প্রাপ্ত কম্বল দরিদ্রদের মাঝে বিতরন করতে শুরু করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক শীত কম্বল দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের। ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭টি ইউরিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দাবি সরকারিভাবে আরো শীত বস্ত্র কম্বল বরাদ্দ প্রদান করা। সম্প্রতি সরকারি বরাদ্দ ছাড়া বেসরকারি ভাবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাঝে ১শ’ শীত কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ঝিনাইগাতির সীমান্ত অঞ্চলে দরিদ্র সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে। সীমান্ত অঞ্চলে গারো, কুচ, হাজং, হদি, পাল, বেদে সম্প্রদায় সহ বহু দরিদ্র লোকেরা বসবাস করে। বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠির আবাস্থল শেরপুরের ঝিনাইগাতির সীমান্ত অঞ্চল। অপরদিকে ঝিনাইগাতি হাসপাতালে শীত জনিত রোগের ঔষধ মিলছে না বলে অনেক রোগির কাছে থেকে জানা যায়। দূর-দূরান্ত গ্রাম থেকে রোগিরা লাইন ধরে শীত জনিত দরিদ্র রোগিরা শীতজনিত রোগের ঔষধ না পেয়ে শূণ্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়। তাই দরিদ্র অসহায় রোগিদের জন্য সরকারি হাসপাতালে শীত জনিত রোগের ঔষধ সরবরাহ করা জরুরি প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করে।