লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জোর পূর্বক পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয় নুরুল করিম নামে এক ব্যক্তি- এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়ন মৌজায় করইতোলা বাজারের উত্তরে লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের পাশে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, দীর্ঘদিন এ ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। মালিকানা জমি ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে দেড় শতক ভূমি রয়েছে। মালিকানা সম্পত্তির দাবিদার শহিদুল ইসলাম ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নেয়। বিগত দিন জমি নিয়ে বিরত থাকায় শহিদ গংদের নামে লিজ পড়ে থাকে। হঠাৎ গত কয়েক দিন যাবত স্থানীয় নুরুল করিম চারদিক থেকে ভেড়া দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে।
এছাড়াও স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীদের দাবি, নুরুল করিম বাজারে নির্মিত শোছাগার থাকা ভূমিও দখল করছেন। তাকে অনেক ব্যবসায় বাঁধা দিলেও মানছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিন বিন কাশেম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি দখলের বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত নুরুল করিমের কাছে দখলের বিষয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি। তবে লিজ সূত্রে দখল কিনেছে দাবি করছে নুরুল করিম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজকৃত ভূমি কখনো দখল ক্রয়-বিক্রয় হয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেড় শতক ভূমি শহিদুল ইসলাম নামে ব্যক্তি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিজ নিয়েছে। গত কয়েক বছর সরকারি বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভূমি লিজ দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু জোর পূর্বক নুরুল করিম ভূমি দখল করতে পারবে না। চলমান কাজ বন্ধ রাখতে তাকে বারবার বলা হয়েছে। তার সকল কাগজপত্র নিয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের সাথে দেখা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নুরুল করিম পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভূমিতে চলমান কাজ বন্ধ করেনি। তাই তাকে স্থানীয় থানায় কাজ বন্ধ করতে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নুরুল করিম বলেন, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি ছাড়া পিছনের বাকি জমিগুলো তার ক্রয়কৃত। মুখের দাবিদার এবং সরকার লিজ দিলে তিনি পাবেন দাবি করেন। তিনি লিজের জন্য আবেদন করেছেন।
কমলনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভূমি দখলের বিষয়টি জেনেছি। চলমান কাজ বন্ধ করতে তদন্ত চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ভূমি দখলের বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। তবে ভূমি গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের থাকায় তাদের জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা না নিলে উপজেলা প্রশাসন নিবে।