গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পাঁচতলা ছাত্রাবাসটি দুই বছর আগে নির্মাণ হলেও হস্তান্তর করা হয়নি। এতে ছাত্ররা নানা দুর্ভোগের মধ্যে মেসে অবস্থান করে লেখাপড়া করতে বাধ্য হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন, ছাত্রাবাসটি হস্তান্তরের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বারবার তাগিদ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পূর্বের একতলা ছাত্রাবাসটি ভেঙে ৫তলা ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ঠিকাদার ছাত্রাবাসটি নির্মাণে সময়ক্ষেপণ করেন। সে সময় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণে প্রায় পৌণে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কাজে ঢিমেতালের কারণে ওই দপ্তর ঠিকাদারকে একাধিকবার শোকজ করলেও ঠিকাদার তা আমলে নেননি। ২০১৯-২০ সালে ভবনটির কাজ শেষ করেন। তবে, গত দুই বছরেও বিদ্যুতায়নের কাজ না করায় ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনটি নেশাখোরদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান বলেন, বাইরে থেকে আসা ছাত্ররা বিভিন্ন মেসে নানা দুর্ভোগের মধ্যে পড়াশোনা করছে। অথচ ওই ভবনটি হস্তান্তরের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে বারবার তাগিদ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ বলেন, ভবনটি যাতে দ্রুত হস্তান্তর করা যায় সে ব্যাপারে ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।