- শেরপুরে অনুকূল আবহাওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
শেরপুরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষা লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক ফলনের সম্ভাবনা লক্ষ করা যাচ্ছে। অত্র জেলার কৃষকেরা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছে। কারন অল্প খরচে অধিক লাভ জনক ফসল সরিষা উৎপাদন করা যায়। এই জন্য কৃষকেরা আগের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছে। ইতিপূর্বে অনেক কৃষক স্বল্প খরচে অল্প সময়ে অধিক লাভ জনক ফসল উৎপাদনের প্রতি আগ্রহ ছিল না।
কৃষকরা অন্য কৃষকের কাছ থেকে সরিষা উৎপাদনের লাভের বিষয়টি জানতে পেরে অনেক কৃষক এ বছর সরিষা চাষ করেছে। যে কারনে লক্ষ মাত্রার চেয়ে এ বছর সরিষা উৎপাদন অনেক বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি কৃষকরা সরিষা ঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারে তাহলে কৃষকরা যেমন লাভবান হবে তেমনি তেলের চাহিদা পূরণ করতে যুগান্তকারি সহায়ক ভূমিকা রাখবে কৃষকের এই উৎপাদিত সরিষা। যা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে তেল আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে। এই জন্য অত্র জেলার কৃষকেরা সরিষা চাষের জন্য আগাম জাতের আমন ধান চাষ করেছে।
আমন ধান কেটে দ্রুততম সময়ে ঐ জমিতে সরিষা চাষ করেছে এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবে অপরদিকে দেশের তেল উৎপাদনের সহায়ক ভূমিকা রাখবে। শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় এ বছর ব্যপক আকারে কৃষকেরা সরিষা চাষাবাদ করেছে। বেসরকারি হিসাব মতে ৫টি উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার একর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। উল্লেখ্য ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৫শ’ একর জমিতে কৃষকেরা সরিষা চাষ করেছে।
অত্র উপজেলার মধ্যে যে সমস্ত গ্রামে সরিষা বেশি চাষ হয়েছে কাংশা ইউনিয়রের নাচুনমোহরি, আয়নাপুর, গুরুচরণ দুধনই, বাকাকুড়া ও নওকুচি। নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া, ভালোকা, ফুলহারি, ভারুয়া, ফাকরাবাদ, হলদিগ্রাম, বনগাও। সদর ইউনিয়নের রামনগর, দিঘিরপাড়, কালিনগর, বন্দভাটপাড়া ও বনকালি সহ আরো অনেক এলাকা। এ ব্যপারে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল ও আল-আমিন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অধিক পরিমানের সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যাহ্ লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি।