শিশু আয়াতকে অপহরণের পর কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) পাওয়া দুই পায়ের পর এবার মাথাসহ এ নিয়ে শরীরের তিনটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হলো। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে আয়াতের স্বজনরা যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে নালাসংলগ্ন স্লুইস গেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। মূলত বৃহস্পতিবার সকালে স্লুইস গেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া যায়। আবির আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবেই ‘টেপ মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া গেছে।
এর আগে গত বুধবার সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইস গেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দু’টি পাওয়া যায়, যেগুলো আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। পিবিআই চট্টগ্রাম ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হন।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১০ দিন পর ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পিবিআই আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া আবিরকে গ্রেপ্তার করে। নগরীর আকমল আলী সড়ক থেকে তাকে রাত ১১টার দিকে আটক করা হয়। সে জানায়, আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ কেটে ছয় টুকরো করে।
খুনি আবির জানায় মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণের করে। এসময় আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। পরে খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয় আবির।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে একই এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়। আজ (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে নালাসংলগ্ন স্লুইস গেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
আনন্দবাজার/কআ