রাজধানীর বাড্ডায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে আসামি শিপনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম বুধবার (৩০ নভেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন। একইসাথে আদালত বলেন, শিশুরা যদি তাদের আশেপাশের প্রতিবেশীদের কাছে নিরাপদ না থাকে তা সমাজের জন্য অশনি সংকেত।
আদালত বলেন, আসামি একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নিজের পাশবিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ভিকটিমের জীবনে কালিমা লেপন করেছে এবং তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। আসামির ওই অপরাধের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(২) ধারায় বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি তার প্রাপ্য। আসামিকে ওই ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো।
মামলা সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই আসামি শিপন নিজের বাসায় আসেন। এসময় ভুক্তভোগী শিশুকে তার বাসার সামনে দেখেন। তখন আসামি শিশুটিকে ভাত খাওয়ান। খাওয়া শেষে ধর্ষণ করেন। শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ ও গলাচেপে ধরে রাখেন। শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামি তাকে বাথরুমে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই শিশুটির বাবা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই রাশেদুল আলম ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আনন্দবাজার/কআ