শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৭২ উপজেলায় ”কৃষকের অ্যাপ” এ ধান কেনাসহ ১৩ নির্দেশনা

২৭২ উপজেলায় ''কৃষকের অ্যাপ'' এ ধান কেনাসহ ১৩ নির্দেশনা

দেশব্যাপী ২৭২ উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনাসহ ১৩ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্বাচিত এসব উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনাসহ এ বিষয়ের প্রচারণায় ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

সম্প্রতি এমন নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে।

যেখানে বলা হয়, আমন ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে
কৃষক নিবন্ধন ও
ধান বিক্রির আবেদন করা যাবে

নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য নিম্নে নির্দেশনাগুলো হলো—

১. নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgfood.gov.bd নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’ থেকে ‘গাইড লাইন – কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

৪. ওয়েবসাইটের উল্লেখিত বক্স থেকে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা লিফলেট (সংযুক্ত লিফলেট) ও তৈরি করা অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  মাটি খুড়তেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলের মুদ্রা!

৫. ওয়েবসাইটের উল্লেখিত বক্স থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।

৬. প্রস্তুত করা লিফলেট জনসমাগম স্থানে যেমন— মসজিদ মন্দির, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে।

৭. প্রস্তুত করা লিফলেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুত করা লিফলেট বিতরণ করতে হবে।

৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করা করতে হবে।

১০. প্রস্তুত করা লিফলেট জেলা/উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে।

১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে হবে।

১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন