চাকরি থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভেই ময়মনসিংহ নগরীর হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটান বাবু।
গত ২২ অক্টোবর ওই অগ্নিকান্ডে চারটি দোকানের সব মালামাল পুড়ে কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো।
ঘটনার পর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। আগুন লাগার সূত্র উদঘাটন করতে গিয়ে আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করলে বেরিয়ে আসে মূল রহস্য।
পুলিশ মার্কেটটির একটি দোকানের সামনে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর দৃশ্য খোঁজে পায়। ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম হেলাল হোসেন বিপ্লব ওরফে বাবু (২৮)। তিনি নগরীর আকুয়া বোর্ডঘর এলাকার মৃত শফিউদ্দিন মিন্টুর ছেলে।
পুরিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানান অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহীনুল ইসলাম ফকির।
ওই সময় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ, পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) ফারুক হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার আগের রাতে ৩৫ টাকায় কেনা পেট্রোল একটি বোতলে ভরে ২২ অক্টোরর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মার্কেটে ঢুকে বাবু। এরপর মাকের্টের মহসিন টেইলার্সের সামনে সেই পেট্রোল ছিটিয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় বাবু।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, মহসিন টেইলার্সে দীর্ঘদিন চাকরি করেছে সে। ঘটনার ১৫ দিন আগে সেই দোকান থেকে পাওনা টাকা না দিয়েই তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। বারবার টাকা চেয়েও তা না পাওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে সে দোকানটিতে আগুন লাগায়।
একই ঘটনায় মহসিন টেইলার্সের মালিক মো. মহসিন মিয়ার দাবি, আমাদের দোকানের কোনো কর্মচারির টাকা পাওনা থাকার কোনো সুযোগই নেই। প্রতিদিন তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়। বাবুর আচার-আচরণ খারাপ এবং চুরির স্বভাব ছিল তাই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
আগুন লাগার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বাবুকে শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে বাবু পুলিশের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আনন্দবাজার/কআ