ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা জমি অনাবাদি থাকলেই তা খাস জমি বলে ঘোষণা করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এটি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বেশ কিছু জায়গায় একটা বড় গুজব চলছে যে, যেসব জমিতে চাষ করা হবে না সেগুলো খাস হয়ে যাবে। আমরা ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশান দিয়ে দিয়েছি, কারও জমি চাষ করল না আর আমি খাস করব, এই রকম কোনো পদ্ধতি নেই। খাস করার একটা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। কোন জমি খাস করার দরকার হলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিয়ম মেনে করতে হবে।’
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পতিত জমিতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মকর্তারা সেখানকার বাসিন্দাদের বলেছেন, পর পর তিন বছর জমি পতিত থাকলে সেই জমি সরকার খাস ঘোষণা করতে পারে। তাই সবাই যেন জমি চাষ করেন। সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জান চৌধুরী বলেন, ‘সম্প্রতি সব অনাবাদি জমিতে চাষাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষিজমি তিন বছরের বেশি সময় অনাবাদি ফেলে রাখলে সেসব জমি সরকার আয়ত্তে নেয়ার বিধান রয়েছে।’
তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জমিতে চাষ না করলে এটা খাস করে ফেলব, এই রকম কোনো প্রবিশন নেই। একটা গুজব চারদিকে ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি দুই এক জায়গায় কোথাও কেউ করেও থাকে, তাহলে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছে যেন কেউ এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়।’
‘ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কেউ চাষ করল না এক বছর, দুই বছর বা তিন বছর, এতে খাস করার কোন সিস্টেম নেই, এটা একটা গুজব। এটা কাইন্ডলি সবাইকে একটু জানাতে হবে’-আবার বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।