- টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নব্য সংকট
সীমান্ত নিরাপত্তা ও নব্য সংকটে চলতি মৌসুমে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। এ অবস্থায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার মাঝখানেই নাফনদী। পর্যটন মৌসুমে জলসীমার নাফনদী দিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে যাতায়াত করে পর্যটকবাহী জাহাজ। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত ও নাফনদীতে নব্য সংকটে চলতি বছর বন্ধ রয়েছে জাহাজ চলাচল।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে একটি জাহাজ চলাচল করছে। এই জাহাজে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন যাচ্ছে ৭০০ এর অধিক পর্যটক। কিন্তু অল্প সংখ্যক পর্যটকের আগমনে ব্যবসা বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দ্বীপে বসবাসকারীরাদের। সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় চরম অনিশ্চিতায় পড়েছে হাজারো মানুষ। অনেকেই বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের চিন্তা করা উচিত বলে মনে করছি।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরের সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বসবাস করে প্রায় ১১ হাজার মানুষ। আর এই দ্বীপে পর্যটন মৌসুমে ৪ থেকে ৫ মাস পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। কিন্ত এ মৌসুমে সরকার কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে একটি জাহাজ চলাচল করার অনুমতি দিয়েছে। এতে হাজারো পর্যটন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি পূর্ণরায় বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের মুজিবুর রহমান জানান, দ্বীপের ৯৫ ভাগ মানুষ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। সম্প্রতি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বিকল্প রুট হিসেবে টেকনাফ সৈকতের সাবরাং পয়ন্ট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
আনন্দবাজার/শহক