রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মাদকের টাকায় কিনছে অস্ত্র। এসব অস্ত্র দিয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই খুনোখুনির ঘটনা ঘটছে হর-হামেশা। বিশেষ করে রোহিঙ্গা মাঝি, স্বেচ্ছাসেবক, প্রত্যাবাসনের পক্ষে থাকা রোহিঙ্গারা শিকার হচ্ছেন বেশি। কারণ তারা ক্যাম্পভিত্তিক ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতা (মাঝি), স্বেচ্ছাসেবক ও তথ্যদাতা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়ে কাজ করে আসছিলেন। উখিয়া-টেকনাফের ১৮, ১৩, ১০, ১৯, ১৭, ২২ এবং ২৩ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে কিছু বিদেশি পিস্তল ও অস্ত্রের চালান ঢুকেছে বলে দাবি সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের। ওই অস্ত্র মাদক বিক্রির টাকার বিনিময়ে ওপার থেকে এপারে আসছে।
ক্যাম্প দখলে নিতে মরিয়া আরসাসহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর এসব গ্রুপ ফের সক্রিয় হয়ে উঠে। আগে থেকেই মাস্টার মুন্না ও নবী গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে আরসার। তবে সব বিরোধ মিটিয়ে এখন তারা একযোগে কাজ করছে বলে দাবি রোহিঙ্গা নেতাদের। এছাড়াও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র হাতে এক রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে কয়েকজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান বলে ঘোষণা দেন।
রোহিঙ্গাদের দাবি, শুধু রাতে নয়, এখন দিনের ক্যাম্পে চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। উখিয়া টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পেই পরস্পরবিরোধী একাধিক রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শিবিরগুলোতে খুনোখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাটের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যা এখন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উখিয়া-টেকনাফের পুরো অঞ্চলে। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয়রা। তারাও এখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ভয়ে তটস্থ।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সূত্রমতে, উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। মাদকের কারবার ক্যাম্পকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা কয়েকটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ও বাইরে গড়ে উঠেছে সশস্ত্র অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাপটে পরিস্থিতি ক্রমেই হানাহানির দিকে মোড় নিচ্ছে।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রতিদিন গোলাগুলি ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনোখুনির মতো ঘটনা ঘটছে। টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত (পাহারাদার) রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক ও মাঝিদের। তারা মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেন। বিষয়টি স্বীকার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এমন পরিস্থিতিতে অভিযানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার জন্য বিট পুলিশিং কাউন্সেলিং, নিয়মিত সচেতন সমাবেশ করলেও কোনো কাজে আসছে না। উল্টো টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক পাহারাদারদের এবং মাঝিদের।
সম্প্রতি উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশের ওপরেও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেছে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক রোহিঙ্গা নারী। এ ছাড়াও গত পাঁচ মাসে ক্যাম্পে ২০টির মতো খুনের ঘটনা ঘটেছে। যারা খুনের শিকার হয়েছেন তারা মাঝি, স্বেচ্ছাসেবক এবং তথ্যদাতা। সব মিলিয়ে ২০১৭ সালের পর থেকে ক্যাম্পে এ পর্যন্ত খুনের ঘটনা ঘটেছে ১২৩টির বেশি।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটি মহাসচিব এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ও বাইরে অসংখ্য সশস্ত্র গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তারা মাদকের ব্যবসা অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি এসব সশস্ত্র গ্রুপের টার্গেটে পরিণত হয়েছে স্থানীয়রাও। গফুর বলেন, রোহিঙ্গারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলবেঁধে বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়দের তুলে নিয়ে মারধর করছে। অপহরণ করে মুক্তিপণও দাবি করছে। এতে দিন দিন স্থানীয়দের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ছে। সামনের দিনে হয়তো ক্যাম্পের আশপাশে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে।
এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর দেয়া তথ্যমতে, রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী অন্তত ৩০/৩৫ হাজার। এসব সন্ত্রাসীকে নিরস্ত্র করতে নিয়মিত সেনাবাহিনীর অভিযান অথবা ক্যাম্পের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিতে হবে। এ ছাড়াও মোবাইল, ইন্টারনেট ব্যবহার নিষিদ্ধ, ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাচল বন্ধ করা গেলে কিছুটা অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন গফুর চৌধুরী। প্রত্যাবাসন ঠেকাতে কৌশলগত কারণে ক্যাম্পকে অশান্ত করে রাখতে চায় মিয়ানমার সরকার।
রোহিঙ্গাদের একটি সূত্রের দাবি, গত ২১ সেপ্টেম্বর হোয়াইক্যং কাঞ্চরপাড়ার খানের হ্যাচারির পাশে বড় ধরনের অস্ত্রের চালান হাতবদলের ঘটনা ঘটেছে। এদিন সন্ধ্যায় ১০ থেকে ১৫টি অস্ত্র খাইরুল বশরসহ কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি রোহিঙ্গার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় বাদশা নামে একজন অস্ত্রের চালানটি লুটের চেষ্টা করলে মারামারির ঘটনা ঘটে। ইয়াবার চালানের বিনিময়ে খাইরুলই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করে থাকেন বলে সূত্রের দাবি। যদিও খাইরুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর অস্ত্র বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ঘটনাস্থলে ৫ শতাধিক মানুষ জড়ো হয়েছিল বলে জেনেছি। একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
সম্প্রতি পিস্তল হাতে কয়েক রোহিঙ্গা যুবকের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ত্র হাতে একটি ভিডিও বার্তায় ৪ মাঝিকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন মো. হাসিম নামের এক যুবক। ভিডিওতে ওই যুবক দাবি করেন, তার মতো ২৫ যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ‘মাহাজ’ নামের একটি ইসলামী সংগঠন। খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তারা হলেন— ১৮নং ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭নং ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহ।
ভিডিওতে রোহিঙ্গা যুবক আরও বলেন, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান। তবে অস্ত্রধারী ওই যুবক গ্রেপ্তার না হওয়ায় এখনও এ ভিডিও বার্তার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। ওই যুবকসহ অস্ত্র হাতে ভাইরাল হওয়া আরও কয়েকজনকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নজর রাখা গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ১৮নং ক্যাম্পে সম্প্রতি কিছু অস্ত্র ঢুকেছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। এ ছাড়াও ২২নং ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি পাহাড়ে সশস্ত্র কিছু লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। একইভাবে ১৩ নম্বর ক্যাম্পেও কিছু অস্ত্র ও অপরিচিত কিছু লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ। বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির কারণে সীমান্ত অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ কারণে জিরোপয়েন্টে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে ফিরে এসেছে। তারা মাদকের কারবার, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। টার্গেট করে রোহিঙ্গাদের মাঝি ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত কয়েক সেবককে খুন করেছে। তাদের ধরতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অনেকে ধরাও পড়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মো. ফারুক আহমদ আরও বলেন, আমাদের হাতে কিছু তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিজস্ব সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটির সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। আপনারাও তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রোহিঙ্গা নেতাদের তথ্যমতে, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধের মুখে ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সশস্ত্র গ্রুপ আরসা। তবে তা ছিল সাময়িক। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের জন্য আরসাকে দায়ী করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্প প্রায় নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আলোচিত নবী হোসেন ও মাস্টার মুন্না গ্রুপের কাছে। তবে এখন মাষ্টার মুন্না, নবী হোসেন, হাকিম ডাকাত একযোগে কাজ করছে। এখন ক্যাম্পের সম্পূর্ণ কর্তৃত্বত্ব ও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে লাগাতার হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে আরসাসহ অপরাপর সন্ত্রাসীগ্রুপ। ফলে পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পের কোথাও না কোথাও হত্যাকাণ্ড ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সামনে আরও বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
অর্ধশতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ
গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গা নেতাদের তথ্যমতে, ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে অন্তত অর্ধশতাধিক ছোট-বড় সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে উঠেছে। প্রত্যেক বাহিনীতে ৩০ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত সদস্য রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পগুলো হয়ে ওঠে অপরাধের অভয়ারণ্য। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি ও খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা।
তথ্যমতে, ক্যাম্পে অধিক পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে রয়েছে মাস্টার মুন্না গ্রুপ, আলোচিত নবী হোসেন গ্রুপ, মৌলভী ইউসুফ গ্রুপ, রকি বাহিনী, শুক্কুর বাহিনী, আব্দুল হাকিম বাহিনী, সাদ্দাম গ্রুপ, জাকির বাহিনী, পুতিয়া গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, গিয়াস বাহিনী, মৌলবী আনাস গ্রুপ, কেফায়েত, জাবু গ্রুপ, আবু শমা গ্রুপ, লেড়াইয়া গ্রুপ, খালেদ গ্রুপ, শাহ আজম গ্রুপ, ইব্রাহিম গ্রুপ ও খলিল গ্রুপ ইত্যাদি।
অভিযোগ আছে, নবী হোসেন, মাস্টার মুন্না গ্রুপসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক বেশিরভাগ সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের যোগাযোগ রয়েছে। ক্যাম্প অশান্ত করার জন্য সন্ত্রাসী গ্রুপকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ফ্রিতে দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার। মূলত বিশ্বের দরবারে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা, আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত করতে চায় মিয়ানমার।
সেজন্যই সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় মায়ানমার জান্তা সরকার প্রত্যাবাসন বিরোধী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক। ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি আমীর জাফর বলেন, এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মাদক কারবারিসহ ও অস্ত্রধারীদের ধরতে অপারেশন রোডআউট পরিচালিত হচ্ছে। যতই শক্তিধর হোক অপরাধীদের রক্ষা নেই। গেল এক সপ্তাহে অর্ধশত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্প ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে।
আনন্দবাজার/শহক