সোনালী ব্যাংকের দুর্নীতির মামলায় তিন আসামির অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগে এ দুর্নীতির মামলা করা হয় ২০১৩ সালে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান ভূইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
ঘটনার সূত্রপাত হয় সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিরন মিয়া ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ব্যাংকটির প্রাক্তন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে আসামি করেন।
অভিযোগ করা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার রমনা করপোরেট শাখার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মাচার লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণের দায় সৃষ্টি করে নিজেরা আত্মসাৎ করেন। ওই হিসাবে সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে।
তবে, তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্টে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। একই বছরের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে আসামিদের অব্যাহতি দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জহুরুল হক।
মামলার বাদী এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। যা আজ (সোমবার) ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।
আনন্দবাজার/কআ