ব্যাংকখাতে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয়েছে। বিলাশবহুল পণ্য আমদানি না করে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে হবে। খাদ্য বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির জোগান বাজারে না থাকলে দাম হু হু করে বেড়ে যাবে। এতে মধ্য ও নিম্ন-বিত্তবান মানুষ বিপদে পড়বে। একইসাথে ব্যাংকগুলো যাতে সহজেই এলসি খুলতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের-এমডব্লিউইআর নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত উন্নয়ন সমন্বয়ের কার্যালয়ে এমডব্লিউইআরের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এনায়েতুল্লাহ কৌশিক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, কৃষি, কর্মসংস্থান ও বৈশ্বিক মহামন্দার মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ তুলে ধরেন।
দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে স্বেচ্ছায় সবাইকে এগিয়ে আসাসহ বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন ড. আতিউর রহমান।
তিনি কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষিতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান এখানে অধিক গুরুত্ব দিতে হব। ব্যাংকখাতে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয়েছে। বিলাশবহুল পণ্য আমদানি না করে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে হবে। সরকারবি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো যাতে সহজেই এলসি খুলতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে।
কেননা খাদ্য বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির জোগান বাজারে না থাকলে দাম হু হু করে বেড়ে যাবে। এতে মধ্য ও নিম্ন-বিত্তবান মানুষ বিপদে পড়বে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। মহামন্দার ব্যাপারে সতর্ক করছেন। এই সতর্কতাকে যথাযথভাবে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
আনন্দবাজার/কআ