বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন এবং একটি ই-বুক চালু করা হয়েছে।
রবিবার রাজধানী ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে দুই দেশের এক অনুষ্ঠানে ডাকটিকিট উন্মোচন এবং ই-বুক চালু করা হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন ও থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব সারুন চারোয়েনসুওয়ান।
থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর থেকে। থাইল্যান্ড ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে তার দূতাবাস চালু করে, অপরদিকে বাংলাদেশ ১৯৭৫-এ ব্যাংককে তার দূতাবাস চালু করে।
বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বিগত বছরগুলোতে বাণিজ্য সম্পর্ক খুব জোরদার হয়, বিশেষ করে পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে। থাইল্যান্ড অধিকতর উন্নত হওয়ায়, বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার জন্য অনেক বাঙালি শিক্ষার্থী সেদেশে যায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে অধিকহারে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আহ্বান করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবলকে আমাদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব এবং থাই স্থায়ী সচিব উভয়েই বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। গত পাঁচ দশক ধরে উভয়ের সম্পর্ক বিকাশ লাভ করেছে ও শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তারা উভয়েই সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক কর্মকাণ্ডের গতি বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। প্রতিবেশী দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য অব্যবহৃত সম্ভাবনাগুলি আরও অন্বেষণ করার আহ্বান জানান।
আনন্দবাজার/কআ