ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হকার-ভিক্ষুকের দখলে ফুটওভার ব্রিজ

হকার-ভিক্ষুকের দখলে ফুটওভার ব্রিজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় জনগুরুত্বপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজটি চলে গেছে হকার ও ভিক্ষুকের দখলে। হকাররা ফুটওভার ব্রিজের একপাশ ও সিড়ি দখল করে দোকানপাট বসানোর করণে জনগনের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুটওভার ব্রিজটি দখলমুক্ত করতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে প্রশাসনকে অবিহত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তারা কখনই হকার উচ্ছেদে ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। পথযাত্রীদের অভিযোগ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় হকাররা ফুটওভার ব্রিজটি দখল করার কারণে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।

জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে রয়েছে বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স মার্কেট, হাউজিং, বাজার, স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। সে জন্য প্রতিদিন এ ফুটওভার ব্রিজটি দিয়ে কয়েক হাজার লোক চলাচলে করে। শুধু সোনারগাঁ উপজেলাই নয় এ ব্রিজটি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর, আড়াইহাজার ও মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া ও কুমিল্লা জেলার কয়েক হাজার মানুষ এ ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করে। এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলা একটি পর্যটন কেন্দ্র ও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল জোন হওয়ায় প্রতিদিন দেশ বিদেশের বহু পর্যটক এ ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে, ব্রিজটি একপাশ দখল করে ফুটপাত বসানোর কারণে হাজার হাজার লোক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

পথচারী আবু হাফিজা জানান, জনগনের চলাচলের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। তবে, ব্রিজটি নির্মাণ করার পর ব্রিজটির সিড়ি ও একপাশ দখল করে দোকান-পাট বসানোর কারণে পথচারীদের চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে।

সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক সানাই জানান, ফুটওভার ব্রিজটি দখল করে বিভিন্ন ফলের দোকান, কাপড়ের দোকান, কাঁচামালের দোকান বসানোর কারণে ব্রিজে দিয়ে আমাদের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কলেজে যাওয়ার সময় ব্রিজে উঠানামা ও চলাচলা করা দায়সাধ্য হয়ে পড়েছে। 

পথচারী সামসুন্নাহার জানান, ব্রিজটিতে উঠতে নামতে ভয়ই হয়। দোকানপাট ও ভিক্ষুকের জন্য ঠেলাঠেলি করে ব্রিজে উঠতে হয় আর এ ঠেলাঠেলির কারণে মোবাইল চোর ও পকেট মাইরের আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে এ ব্রিজটি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি নবীর হোসেন জানান, ব্রিজটিতে হকার বসানোর কারণে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ হয়ে সেজন্য আমরা কয়েকবার অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা একদিকে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আসি আরেক দিকে তারা বসে যায়।

সোনারগাঁ থানার বিদায়ী ওসি হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসী, জনপ্রতিনিধি ও নেতারা এখানে ফুটপাত বসিয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে সেজন্য কেউ হকার উচ্ছেদ করতে রাজি নন।

সংবাদটি শেয়ার করুন