জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে আগামী ২৯ নভেম্বর হতে ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে সফর করবেন। সফরে বাংলাদেশ ও জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ পর্যায়ে উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী আরিমা ইউটাকা সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষই দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা তুলে ধরেন। যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো। আবে দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্ব’ স্তরে উন্নীত করেন এবং সেপ্টেম্বর ২০১৪-এ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফর, যখন দুই দেশ বিআইজি-বি-এর অধীনে গভীর অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে। সফররত জাপানের সহকারী মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফর বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
উভয় পক্ষ আশা করেছিল যে আসন্ন সফরে বাংলাদেশ ও জাপান উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, আইসিটি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা সংলাপ ও বিনিময়, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে গভীর অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে। উভয় পক্ষই জলবায়ু পরিবর্তন, জাতিসংঘের সংস্কার, নিরস্ত্রীকরণ এবং অপ্রসারণ ইত্যাদি বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল)ও সাক্ষাতে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন।
আনন্দবাজার/কআ