- হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
- ৮০ ভাগ দোকানে পানি
- ৯১’র প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর সিত্রাং এর প্রভাব ব্যাপক ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। এ বাণিজ্যপাড়ার প্রায় দোকান-গুদাম পানি ঢুকে ডুবে যায়। ৯১’র প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রভাবে সৃষ্ট পানিতে ডুবছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ৮০ শতাংশ দোকান ও গুদামে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাজার কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাড়িঘরের নিচতলা ডুবে গেছে। এছাড়াও চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের প্রায় দোকান ও গুদামে পানি ঢুকেছে। তিনি বলেন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পানি থেকে মালামাল রক্ষার জন্য প্রতিটি দোকান ও গুদামের সামনে দেড় থেকে দুই ফুট উচ্চতার দেয়াল দেওয়া হয়েছে। এ দেয়াল টপকিয়ে পানি দোকান ও গুদামে ঢুকেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, কমপক্ষে হাজার কোটি টাকার মালামাল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চাক্তাই শিল্প ও বণিক সমিতি অফিস সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউনুস জানান, চাক্তাই এলাকার ৮০-৮৫ শতাংশ দোকান ও গুদামে পানি ঢুকেছে। বিশেষ করে চালের দোকান ও গুদামে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ৯১’র ঘূর্ণিঝড়ের মতো দ্রুত পানি ঢুকে গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানদার, কর্মচারী ও শ্রমিকেরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেনি।
ডাল মিল সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজয় দত্ত বলেন, তার মিলে পানি ঢুকে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার ডাল ডুবে গেছে। এছাড়াও ময়দা ও বিভিন্ন মিলে পানি ঢুকে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি। তিনি বলেন, ৯১’র ঘূর্ণিঝড়ের মতো ব্যাপক ক্ষতি হবে, তা বুঝতে পারেনি।
আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতির কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেন, চাক্তাই এলাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট এলাকায় প্রতিটি দোকান ও গুদামে পানি ঢুকেছে। এখানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।