দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক শিকদার মো. শামীম হোসেন ও তার স্ত্রী শায়লা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা- ১ এ সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, শিকদার মো. শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অভিযোগ অনুসন্ধানের পর্যায়ে সন্দেহজনক সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক সম্পদের বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন তারা। দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে আসামি শায়লা রশিদ তার নিজ নামে এক কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ১৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট দুই কোটি ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন।
তবে, সম্পদের বিবরণী যাচাইকালে তিন কোটি ৭৫ লাখ এক হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়। যেখানে এক কোটি ২৫ লাখ সাত হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক।
আরো জানা যায়, শায়লা মিরপুর- ২ এ একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় দেখালেও বাস্তবে তিনি তা এক কোটি ৩০ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। ওই টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক শিকদার শামীম হোসেনের স্ত্রী।
গ্রহণযোগ্য আয়ের চেয়ে এক কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪৮ টাকার অবৈধ সম্পদের অর্জনের প্রমাণ মেলে দুদকের অনুসন্ধানে। যা স্বামীর মাধ্যমে অর্জন করেছেন তিনি।
শায়লা রশিদ ও তার স্বামী পুলিশ পরিদর্শক শিকদার শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা, দণ্ডবিধি ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
আনন্দবাজার/কআ
